গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োগ
গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আবেদন করা যাবে অনলাইনে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি https://www.gaibandha.gov.bd/ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। উক্ত নিয়োগে ০৪ টি পদের বিপরীতে মোট ০৯ জন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগে বাংলাদেশের নারী ও পুরুষ উভয় নাগরিক অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের অবশ্যই চাঁদপুরের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে । ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ প্রার্থীর বয়স ১৮-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে ২৩ জুলাই ২০২৩ তারিখের ১৪১ নম্বর প্রজ্ঞাপনের আদেশমতে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ও বীরঙ্গনা, ক্ষুদ্র ন-গোষ্ঠ, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং লিঙ্গসহ সরকার নির্ধারিত সকল কোটা অনুসরণ করা হবে।
শিক্ষাগত যোগত্যা
১। বেয়ারার-কোন স্বীকৃত বোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
২। নিরাপত্তা প্রহরী- কোন স্বীকৃত বোর্ড হতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
৩। মালী-৮ম শ্রেণি পাশ
৪। পরিচ্ছন্নতা কর্মী- ৮ম শ্রেণি পাশ
আবেদন শুরু ও শেষের তারিখ
অনলাইনে আবেদন ও পরীক্ষার ফি জমা দানের শুরুর তারিখ ২৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ। আবেদন জমাদানের শেষ সময়সীমা ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ।
আবেদনের নিয়ম
অনলাইনে http://dcgaibandha.teletalk.com.bd/ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্রাউজ করে যাবতীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পূর্বে বার বার তথ্যগুলো যাচাই করবেন। আবেদন সাবমিট সম্পন্ন হলে একটি ইউজার আইডি প্রদান করা হবে যা ব্যবহার করে টেলিটক প্রিপেইড সীমের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন ফি প্রদান করার পর কোন ভাবেই আর আবেদন সংশোধন বা বাতিল করা যাবে না। তাই অধিক সতর্কতার সাথে আবেদন ফরম পূরণ করুন।
এক নজরে নিয়োগের তথ্য সমূহ
| নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান | গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় |
| প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট | https://www.gaibandha.gov.bd/ |
| পদের নাম | নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্রষ্টব্য অথবা নিচে স্ক্রল করুন |
| পদ সংখ্যা | ০৯ টি |
| আবেদন শুরুর তারিখ | ২৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
| আবেদনের শেষ তারিখ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
| আবেদনের লিংক | http://dcgaibandha.teletalk.com.bd/ |
| নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি | Click Here |
গাইবান্ধা সম্পর্কে তথ্য
বৌদ্ধ, হিন্দু, মোঘল, পাঠান আমলসহ ইংরেজ শাসনামলের স্মৃতি বিজড়িত আমাদের এই গাইবান্ধা জেলা। বিভিন্ন শাসনামলে নানা সংগ্রাম-বিদ্রোহ এ অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছে। গাইবান্ধা আদিতে কেমন ছিল সে বিষটি প্রথমে আলোচনা করা দরকার। বিভিন্ন সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য এব্যাপারে বেশ কিছু ধারনা দেয়। গাইবান্ধা জেলার মুল ভুখন্ড নদীর তলদেশে ছিল এবং কালক্রমে যা নদীবাহিত পলিতে ভরাট হয় এবং এতদঞ্চলে সংঘঠিত একটি শক্তিশালী ভুমিকম্পের ফলে নদী তলদেশের উত্থান ঘটে এবং স্থলভূমিতে পরিণত হয়। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বাহিত পলি মাটি দিয়েই গড়ে উঠেছে আজকের গাইবান্ধা।
গাইবান্ধা নামকরণ প্রসংগঃ জেলা শহরের বর্তমান অবস্থানের গাইবান্ধা নামকরণ ঠিক কবে নাগান হয়েছে তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায় নি। তবে রংপূরের কালেকক্টর ইজি, গ্লেজিয়ার ১৮৭৩ সালে যে রিপোর্ট প্রণয়ন করেছিলেন সেই রিপোর্ট গাইবান্ধা নামটি ইংরাজীতে লেখা হয়েছে এণঊইঅঘউঅ এবং সেই এণঊইঅঘউঅ এর অবস্থান হিসেউেল্লেখ করা হয়েছে ঘাঘট পাড়ের কথা। এই ঘাটটই যে ঘাঘট নদী সেটা বলা যায়। রংপুরের গ্লেজিয়ার সাহেবের পূর্বে কালেকটর ছিলেন জেমস রেনেল। তার প্রণীত রেনেল জার্নালস থেকে জানা যায় ১৭৯৩ সালে উত্তর বঙ্গে পুনভাব, ধরলা, তিস্তা, মানস এবং ঘাঘট খাল নৌ পরিবহনে সহায়ক ছিল। লেখা হয়েছে ঘাঘট খালে জানুয়ারী মাসেই বিরাট বিরাট নৌকা চলাচল করতো। জেমস রেনেল এবং ইজি গ্লেজিয়ার দুজন কালেক্টরের রিপোর্টেই অবশ্য ঘাঘটকে খাল হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেদিক থেকে বোঝা যায় ঘাঘট নদী ১৭৯৩ সালেও সে সময়ের নদী গুলোর চাইতে ছোট আকৃতির ছিল বলেই ঘাঘটকে খাল হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার এই তথ্য থেকে আরেকটা বিষয় বলা যায় যে, ১৭৯৩ সালেও মানস নদী ছিল। ঘাঘট নদীর মতই। অপর যে বিষয়টি এই দুটি তথ্য থেকে অবহিত হওয়া যায়, তা ১৭৯৩ সালে গাইবান্ধা নামটি উল্লেখযোগ্য ছিল না। ১৮৭৩ সালে ইজি গ্লেজিয়ার তার রিপোর্টে গাইবান্ধা নামটি উল্লেখ করেন ।




দেশ-বিদেশের সকল খবর জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের নিউজ পেপার সেকশনে ক্লিক করুন। সবার আগে আপডেট নিউজ এখানে আপলোড করা হয়।
সকল চাকরীর বিজ্ঞপ্তি জানতে আমাদের ওয়েসাইটের জব নিউজ সেকশনে ক্লিক করুন।
চাকরীর প্রস্তুতি সম্পর্কিত একটি আর্টিক্যাল আমাদের সাইটে রক্ষিত রয়েছে। এটি পড়লে আপনি চাকরীর প্রস্তুতি সম্পর্কে একটি ধারণা পাবেন। পড়তে ক্লিক করুন।



